ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

কক্সবাজারেও গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় হচ্ছে : দেখার কেউ নেই

মাহাবুবুর রহমান. কক্সবাজার :: করোনা সংকটকালীন গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার হলেও কক্সবাজারের বেশির ভাগ সড়কে কমেনি গাড়ী ভাড়া। যাত্রীদের অভিযোগ সিট অনুযায়ী যাত্রী নিলেও টাকা বেশি নিচ্ছে বেশির ভাগ পরিবহনে। অভিযোগ দিলেও কেউ কথা শুনছেনা। এতে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছে ভুক্তভোগীরা। এদিকে সাধারণ মানুষকে জিম্মিকরে গণপরিবহনে বেশি ভাড়া আদায় করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পরিবহন সেক্টরে জড়িত রাঘববোয়ালরা। এ বিষয়ে দ্রæত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।
কক্সবাজার পৌরসভার এক মহিলা কর্মচারী জানান,আগে কালুর দোকান থেকে টমটম গাড়ীতে উঠে পৌরসভা কার্যালয়ে আসলে ভাড়া নিত ৫ টাকা করোনা সংকট কালীন সময়ে সেই ভাড়া ১০ টাকা করেছিল কিন্তু এখন বর্ধিত গাড়ী ভাড়া প্রত্যাহার হলেও আগের ভাড়া রয়েগেছে। তবে যাত্রীকম নেয়না বরং সামনে পেছনে ৭/৮ জন নেয়। টেকপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন,আমি একটি এনজিওকে চাকরী করি তাই প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেতে হয় আগে সিএনজি নিয়ে যেতে ৭০ টাকা ভাড়া নিত। করোনা কালীন সময়ে সেটা এক লাফে জনপ্রতি ১৫০ টাকা নিয়েছে এখন ১০০ টাক নেয়। তাও মাঝে মধ্যে যাত্রী নাই বলে ১২০ টাকা নিচ্ছে। স্টেডিয়াম সড়ক থেকে যাত্রা কালে যাত্রী কম থাকলেও পথে ঠিকই যাত্রী তুলে কিন্তু ভাড়া কম নেয় না। সেটা আমরা বল্লে উল্টো ঝগড়া করে। এদিকে রামু রোড়ের সিএনজি,মিনিবাস সহ বেশির ভাগ গণপরিবহনে ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বলে জানান যাত্রীরা। চৌফলদন্ডি এলাকার ব্যবসায়ি জহিরুল ইসলাম বলেন,জরুরী কাজে প্রায় সময় আমাদের সিএনজি যোগে কক্সবাজার আসতে হয় খুরুশকুল সড়ক দিয়ে আসতে আগে ৩০ টাকা নিত মাঝখানে করোনা সংকটকালীন সময়ে সেটা ৫০/৬০ টাকা নিলেও এখন সরকার পরিবহন ভাড়া কমানোর পরে ভাড়া নিচ্ছে আগেমত বেশি ছাপাচাপি করলে ৪০ টাকা পর্যন্ত নেয়। এ ব্যপারে খুরুশকুল রোড়ে চলাচলকারী এক সিএনজি চালকের কাছে জানতে চায়লে তিনি জানান,সরকার ভাড়া কমিছে তবে এখন চাঁদাদিতে হয় আগে চেয়ে বেশি এবং দুই জায়গায় চাঁদাদিতে হয়,তেলের দাম বেশি,আমাদের খরচ বেশি তাই পোষাতে পারিনা। ঈদগাও ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান,করোনাকালীন সময়ে মানুষের আয় কমেছে তবে বেড়েছিল গাড়ী ভাড়া সহ নিত্যপণ্যের দাম। এখনো বাজারে সব ধরনের তরিকরকারী থেকে শুরু করে চালের দাম অনেক বেশি। সেই সাথে সরকার গাড়ী ভাড়া কমিয়ে আগের অবস্থায় আনার নির্দেশ দিলেও গ্রামের গঞ্জে অনেকে সেই নিয়ম মানছে না বরং আগের নিয়মেই গাড়ী ভাড়া আদায় করছে বিশেষ করে প্রধান সড়কে যে সব মাইক্রোবাস যাত্রী পরিবহন করে তারা কোন ভাড়া কমায়নি। এখনো করোনার অজুহাতে ভাড়া আদায় করছে বেশি তবে যাত্রীও তুলছে বেশি। তিনি বলেন,পথে পথে পরিবহন শ্রমিক বা বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির কারনে এই গাড়ী ভাড়া কমছেনা।এদিকে চকরিয়ার বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে চকরিয়া থেকে বদরখালী, পেকুয়া, মগনামা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে যাওয়া গাড়ী ভাড়া কমেনি বরং খেত্র বিশেষে আগের চেয়ে বেড়েছে। তাদেরও দাবী চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ায় গাড়ী ভাড়া বৃদ্ধিপাচ্ছে এতে সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
এ ব্যপারে কক্সবাজার বিআরটিএর সহকারী পরিচালক উথোয়েনু চৌধুরী জানান,করোনাকালীন সময়ে সরকার দূরত্ববজায় রেখে যাত্রী পরিবহনে নিয়ম করেছিল সে সময় যাত্রীদের কাছে থেকে ডাবল ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা ছিল কিন্তু সেটা গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে যা আমরা স্থানীয় পত্রিকায় দিয়ে সবাইকে জানিয়েছি তবে শুনা যাচ্ছে এখনো অনেক সড়কে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে গাড়ী ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে এটা অন্যায়। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: